সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: পর্যটনের এমন ভরা মৌসুমে করোনার প্রভাবে পর্যটক শূন্য হয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রসহ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। ঈদুল আযহার পরের দিন থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সকল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র ১৩ দিন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার পর ঈদুল আযহায় ছুটিতে পর্যটক শূন্য লাউড়াছড়া জাতীয় উদ্যান। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পাশে ছাতা তুলে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। হকার ও ফটো গ্রাফাররা পার করছে বেকার সময়। বেশিরভাগ বাদাম-ঝালমুড়ি ব্যবসায়ী পাড়ি জমিয়েছে তাদের নিজ বাড়িতে।
সরজমিন দেখা যায়, চা বাগান, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিসহসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে পরিবার ও ব্যক্তিগত গাড়ীতে করে ঘুরতে আসলেও এবার করোনায় লকডাউনে পর্যটক শূন্য। সেখানে পযর্টক প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এসব স্থানে পর্যটক শূণ্য করে প্রবেশ রোধে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে। লাউছড়া জাতীয় উদ্যানে এখন দলবদ্ধ মানুষের তৎপরতা নেই। বনের ভেতরে সড়ক ও রেলপথে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল না থাকায় গাড়ির শব্দও বন্ধ ছিল। এতে প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে উঠে বন্যপ্রাণি। বন্যপ্রাণির অবাধ বিচরণ ও বিভিন্ন উদ্ভিদ পুর্নজন্ম নিচ্ছে বনটিতে। দীর্ঘ সময় ধরেই বিরল প্রজাতির এই প্রাণির জন্যে লাউয়াছড়া বনটি গুরুত্ব বহন করে চলছে। ফলে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যাও।
বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকসহ বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণি, উদ্ভিদ ও বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ লাউয়াছড়া উদ্যান। প্রাচীন গাছগাছালি চুরি, মাগুরছড়ায় গ্যাসকূপ বিস্ফোরন, বনের ভেতর দিয়ে উচ্চ শব্দে রেল ও সড়কপথে ট্রেন, যানবাহনের যাতায়াত, গাড়ির হর্ন, অত্যধিক দর্শনার্থীর হইহুল্লোড়, পার্শ্ববর্তী টিলাভূমিতে হোটেল, কটেজ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম সব মিলিয়ে অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে বন ও বন্যপ্রাণি। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা ও যানবাহন বন্ধ হওয়ায় বনে পর্যটকের কোন উপস্থিতি নেই।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারস্থ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, করোনায় কঠোর লকডাউনে লাউয়াছড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পর্যটক শূন্য থাকায় বন্যপ্রাণির খাবার সংগ্রহ ও অবাধে চলাচল করছে এবং লাউয়াছড়া ও সাতছড়িতে সমৃদ্ধ হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।